অ্যালোভেরার উপকারিতা ও অপকারিতা
অ্যালোভেরার উপকারিতা ও অপকারিতা নিয়েই থাকছে আজকের আমাদের এই পোস্ট। অ্যালোভেরার অনেক রকম উপকারিতা রয়েছে। অ্যালোভেরা জেল প্রতিদিন পান করলে পেটের সমস্যা দূর হয়। আর যদি সুষম খাদ্যের পাশাপাশি প্রতিদিন অ্যালোভেরার রস পান করা যায় তাহলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করা সম্ভব।
এছাড়া অ্যালোভেরা জেলে প্রায় ২০ রকম অ্যামিনো অ্যাসিড আছে যা ইনফ্লামেশন এবং ব্যাকটেরিয়া রোধ করে হজমে সহায়তা করে , এবং বুক জ্বালাপোড়া রোধ করে। অ্যালোভেরা মানব জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। অ্যালোভেরা একটি রসালো প্রজাতির উদ্ভিদ। এটি হলো এ্যালো পরিবারের একটি উদ্ভিদ।
অ্যালোভেরা গাছ দেখতে অনেকটাই কাঁটাওয়ালা ফনিমনসা বা ক্যাকটাসের মতো। অ্যালোভেরা কিছুটা ক্যাক্টাসের মত দেখালেও ক্যাক্টাস নয়।এটি একটি লিলি প্রজাতির উদ্ভিদ। এর আদি নিবাস আফ্রিকার মরুভূমি অঞ্চল ও মাদাগাস্কার। অ্যালোভেরা আজ থেকে ৬০০০ বছর আগে মিশরে উৎপত্তি লাভ করেছে। ভেষজ চিকিৎসা শাস্ত্রে অ্যালোভেরার ব্যবহার পাওয়া যায় সেই খ্রিস্টপূর্ব যুগ থেকেই।
অ্যালোভেরা বহুজীবী ভেষজ উদ্ভিদ যা দেখতে অনেকটা আনারসের গাছের মত। এর পাতাগুলি পুরু, দুধারে করাতের কাঁটার মতো এবং ভেতরে আঠালো পিচ্ছিল শাঁস থাকে। সবরকম জমিতেই অ্যালোভেরা চাষ সম্ভব, তবে দোঁআশ ও অল্প বালি মিশ্রিত মাটিতে এই গাছের ফলন ভালোই হয়।প্রতিদিন জল সেচের দরকার হলেও গাছের গোড়ায় যাতে জল না থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সাধারণত শেকড় থেকে গজানো ডাল বা ‘শাখা' র সাহায্যে এই গাছের বংশবৃদ্ধি হয়ে থাকে।
অ্যালোভেরার পুষ্টিগুণ
অ্যালোভেরায় রয়েছে নানা ভিটামিন ও খনিজের উৎস। অ্যালোভেরায় প্রায় ২০ ধরনের খনিজ উপাদান আছে। ক্যালসিয়াম, জিঙ্ক, ম্যাগনেশিয়াম, ক্রোমিয়াম, সোডিয়াম, আয়রন, পটাশিয়াম, কপার, ও ম্যাংগানিজ ইত্যাদি ভালো পরিমাণে রয়েছে। ভিটামিনের মধ্যে ভিটামিন এ, সি, ই এবং ভিটামিন বি১, বি২, বি৩,বি৬,ও ভিটামিন বি১২ আছে।
শরীরের জন্য অত্যাবশ্যক সব অ্যামাইনো এসিডসহ প্রায় ১৮ থেকে ২০ ধরনের অ্যামাইনো এসিড রয়েছে। এ ছাড়াও ফলিক এসিড, কোলিন, ফ্যাটি এসিড ও প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে।
অ্যালোভেরার উপকারিতা
অ্যালোভেরা পাতা ও শাঁস ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এর পাতার রস যকৃতের জন্য বেশ উপকারী।অ্যালোভেরা পাতার শাঁস বেঁটে ফোঁড়ায় লাগালে যন্ত্রণা কম হয়। পোড়াস্থানে লাগালে উপকার পাওয়া যায়। হাঁপানি ও এলার্জি প্রতিরোধে অ্যালোভেরা বৈজ্ঞানিকভাবে কার্যকরী একটি মাধ্যম। এটি ত্বকের জন্য খুব উপকারী। ত্বকের দাগ, ব্রণ, এবং শুষ্কতা দূর করতে সাহায্য করে।
হার্ট সুস্থ রাখতে অ্যালোভেরার কার্যক্ষমতা
হার্টকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে থাকে অ্যালোভেরার জুস। অ্যালোভেরা কোলেস্টেরলের মাত্রা কম করে দেয়। এটি উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক রাখতে সহায়তা করে এবং রক্তে অক্সিজেন বহন করার ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলে। দূষিত রক্ত দেহ থেকে বের করে রক্ত কণিকা বাড়াতে সাহায্য করে। ফলে দীর্ঘদিন হার্ট সুস্থ ও সক্রিয় থাকে।
মাংসপেশী ও জয়েন্টের ব্যথা প্রতিরোধ করতে অ্যালোভেরার কার্যক্ষমতা
অ্যালোভেরা মাংসপেশীর ব্যথা কমাতে সহায়তা করে থাকে। শুধু তাই নয়, ব্যথার স্থানে অ্যালোভেরা জেলের ক্রিম লাগালে ব্যথা দূর হয়ে যায়।
দাঁতের যত্নে অ্যালোভেরার জুস
অ্যালোভেরার জুস দাঁত এবং মাড়ির ব্যথা রোধ করে থাকে। দাঁতে কোন ইনফেকশন থাকলে সেটাও দূর করে দেয়। প্রতিদিন অ্যালোভেরার জুস খাওয়ার ফলে দাঁত ক্ষয়রোধ করা যায়।
ওজন কম করতে অ্যালোভেরার কার্যক্ষমতা
ওজন কমাতে অ্যালোভেরা জুস খুব উপকারী। ক্রনিক প্রদাহের কারণে শরীরে মেদ জমে থাকে। অ্যালোভেরা জুসের অ্যান্টি ইনফ্লামেনটরি উপাদান এই প্রদাহ দূর করে ওজন রোধ করে থাকে। পুষ্টিতে ভরপুর এই সকল কারণে ডায়েট লিস্টে নিয়মিত অ্যালোভেরা জুস রাখার পরামর্শ দিয়ে থাকে পুষ্টিবিদগণ।
হজমশক্তি বাড়াতে অ্যালোভেরার জুস
হজমশক্তি বাড়াতে অ্যালোভেরা জুসের কমতি নেই। এটি অন্ত্রের উপকারী ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি করে অন্ত্রে প্রদাহ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া রোধ করে থাকে, যা হজমশক্তি বাড়িয়ে দেয়। অ্যালোভেরা ডায়রিয়ার বিরুদ্ধেও অনেক ভাল কাজ করে থাকে।
ডায়াবেটিস রোধে অ্যালোভেরার জুস
অ্যালোভেরার জুস রক্তে চিনির পরিমাণ ঠিক রাখে এবং দেহে রক্ত সঞ্চালন বজায় রাখতে সহায়তা করে। ডায়াবেটিস শুরুর দিকে নিয়মিত অ্যালোভেরার জুস খেলে ডায়াবেটিস রোধ করা সম্ভব। তাই, খাওয়ার আগে বা খাওয়ার পরে নিয়মিত অ্যালোভেরার জুস পান করতে হবে , তাহলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
ত্বকের যত্নে অ্যালোভেরার কার্যক্ষমতা
ত্বকের যত্নে অ্যালোভেরার ব্যবহার সম্পর্কে সবাই কম-বেশি জানে। অ্যালোভেরার অ্যান্টি ইনফ্লামেনটরি উপাদান ত্বকের ইনফেকশন দূর করে ব্রণ হওয়ার প্রবণতা কম করে দেয়।
রোগ-প্রতিরোগ ক্ষমতা বাড়াতে অ্যালোভেরা
অ্যালোভেরা হলো অ্যান্টি ম্যাইকোবিয়াল এবং অ্যান্টি ফাঙ্গাল উপাদানসমৃদ্ধ একটি উদ্ভিদ। অ্যালোভেরা জুস প্রতিদিন পান করলে রোগ-প্রতিরোগ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং দেহের টক্সিন উপাদান দূর করে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে।
মুখের দূরগন্ধ দূর করতে অ্যালোভেরার কার্যক্ষমতা
অ্যালোভেরায় আছে ভিটামিন সি, যা মুখের জীবাণু দূর করে মাড়ি ফোলা, মাড়ি থেকে রক্ত পড়া বন্ধ করে দেয়। গবেষণায় দেখা যায়, অ্যালোভেরার জেল মাউথ ওয়াশ এর বিকল্প হিসেবেও ব্যবহার হয়ে থাকে।
চুল সুন্দর রাখতে অ্যালোভেরা
অ্যালোভেরার গুনাগুন বলে শেষ করা যাবে না, মাথায় খুশকি দূর করতে এর কোন তুলনা হয়না। এমনকি ঝলমলে স্লিকি চুলের জন্যেও অ্যালোভেরা অনেক কার্যকরী। তাই, চুলের যত্নে অ্যালোভেরা হতে পারে নিত্যসঙ্গী।
মুখের ঘা রোধ করতে অ্যালোভেরা
অনেকের মুখে ঘা হয়, আর এই মুখের ঘা দূর করতে অ্যালোভেরা খুবই কার্যকরী উপাদান। ঘায়ের জায়গায় অ্যালোভেরার জেল লাগিয়ে দিলে মুখের ঘা ভাল হয়ে যায়।
ক্যান্সার রোধে অ্যালোভেরার জেল
গবেষণায় দেখা যায় যে, অ্যালোভেরায় রয়েছে অ্যালো ইমোডিন, যা স্তন ক্যান্সার বিস্তারকে প্রতিরোধ করে থাকে। এছাড়াও অন্যান্য ক্যান্সার প্রতিরোধে অ্যালোভেরা অনেক কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে
অ্যালোভেরার অনেক গুণাগুণের মধ্যে আরেকটি হল রক্তচাপ কমাতে এর কোন তুলনা নেই। অ্যালোভেরার ঔষধি গুণ রক্তচাপ কমায় এবং রক্তে কোলেস্টেরল ও চিনির মাত্রা স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে থাকে।
ক্ষতিকারক পদার্থ রোধ করতে অ্যালোভেরা
কিছু ক্ষতিকর পদার্থ দেহের মধ্যে প্রবেশ করে নানা রকমের রোগের সৃষ্টি করতে করে থাকে। যারফলে তা দেহের জন্য মোটেও ভালো নয়। এই সকল ক্ষতিকর পদার্থ দেহ থেকে বের করা প্রয়োজন। অ্যালোভেরার রস পান করলে দেহের ক্ষতিকর পদার্থ প্রবেশ করতে পারে না। আর যদি প্রবেশ করেও থাকে , তাহলে অ্যালোভেরার জুস পানে তা বের হতে সাহায্য করে থাকে।
এই ক্ষেত্রে অ্যালোভেরার জুসের গুণ অপরিসীম। ক্লান্তি দূর করতে অ্যালোভেরা: দেহের দুর্বলতা সারাতে অ্যালোভেরার জুসের কোন বিকল্প নেই। যদি অ্যালোভেরার জুস প্রতিদিন পান করা হয় তাহলে দেহের ক্লান্তি দূর হবে এবং দেহকে সতেজ ও ফুরফুরে রাখবে।
পানির ঘাটতি কম করতে অ্যালোভেরা: অ্যালোভেরাতে প্রচুর পরিমাণে পানি থাকার ফলে এটি শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে সহায়তা করে।
অ্যালোভেরা খাওয়ার পদ্ধতি
অনেকেই জানে না যে অ্যালোভেরা কীভাবে খেতে হয়, এটি জুস বা সালাদ বানিয়ে খাওয়া যায়। প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস অ্যালোভেরা জুস পান করলে অনেক রোগ প্রতিরোধ করা যায়। অ্যালোভেরা কিউব করে কেটে সালাদ বানিয়েও খাওয়া যেতে পারে। এ ছাড়া স্মুদি বা শরবতে মিশিয়ে যেতে পারে এই কিউব।
পুরুষদের জন্য অ্যালোভেরার উপকারিতা
অ্যালোভেরা দেহে সাদা ব্লাড সেল গঠন করে থাকে , যা ভাইরাসের সাথে লড়াই করে শরীরে এনার্জি তৈরি করে যা পুরুষের শরীর সতেজ রাখতে সহায়তা করে। অ্যালোভেরার জুসে অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি উপাদান শরীরে জমে থাকা মেদ দূর করে এবং কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই ওজন কমাতে সাহায্য করে।অ্যালোভেরার উপাদানগুলো পুরুষের হাড় ও মাংসপেশীকে শক্তিশালীকে করে তুলে। হার্টের সমস্যাও প্রতিরোধ করে থাকে।
ত্বকে অ্যালোভেরা জেল ব্যবহারের নিয়ম
- লেবুর সাথে: লেবু ও অ্যালোভেরা দুটোই শক্তিশালী 'অ্যান্টি এইজিইং' উপাদান ভরপুর। এগুলো ত্বককে আর্দ্র রাখতে ও দাগ ছোপ কমাতে সাহা্য্য করে থাকে। এক টেবিল-চামচ অ্যালোভেরা, একটা ডিমের সাদা অংশ এবং আধা টেবিল-চামচ তাজা লেবুর রস মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে ত্বকে মেখে ১৫ থেকে ২০ মিনিট অপেক্ষা করে কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে।
- মধু ও অ্যালোভেরার জেল: তৈলাক্ত ত্বকের ব্রণ ও তেলতেলেভাব দূর করতে অ্যালোভেরা জেল খুবই উপকারী। অ্যালোভেরা, ভিটামিন ই এবং মধু ভালোভাবে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে ত্বকে ব্যবহার করলে উপকার পাওয়া যায়।
- গোলাপ ও অ্যালোভেরার টোনার: ঘরে তৈরি অ্যালোভেরা ও গোলাপের টোনার ত্বকের শুষ্কতা কমাতে সাহায্য করে। গোলাপ জলের সাথে অ্যালোভেরার জেল মিশিয়ে প্রতিদিন গোসলের পরে ব্যবহার করলে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।
- প্রদাহনাশক ফেস প্যাক: ত্বকে প্রদাহের সমস্যা যেমন একজিমা বা র্যাশের প্রবণতা থাকলে অ্যালোভেরা সমৃদ্ধ প্রসাধনী ব্যবহার করা বেশ উপকারী। অ্যালোভেরার ফেস ওয়াশ ত্বককে শীতল রাখতে ও লালচেভাব কমাতে সাহায্য করে।
- হলুদের সঙ্গে: ১ টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেল, ১ চা চামচ মধু, ১ চিমটি হলুদের গুঁড়া ও কয়েক ফোঁটা গোলাপজল মিশিয়ে বানিয়ে নিন প্যাক। মিশ্রণটি ত্বকে ২০ মিনিট লাগিয়ে রেখে কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ত্বক হবে মোলায়েম ও উজ্জ্বল।
- টক দই মিশিয়ে: ২ টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেল ও ১ চা চামচ টক দই একসঙ্গে মিশিয়ে নিতে হবে। ত্বক শুষ্ক হলে ১ চা চামচ মধু মেশাতে হবে এই প্যাকে। ত্বক যদি তৈলাক্ত হয় হবে মধুর বদলে সমপরিমাণ লেবুর রস মিশিয়ে নিতে হবে। মিশ্রণটি ১৫ মিনিট ত্বকে লাগিয়ে রেখে ধুয়ে ফেলতে হবে।
- নারকেল তেলে ম্যাজিক: পরিমাণ মতো অ্যালোভেরা জেলের সাথে কয়েক ফোঁটা নারকেলের তেল মিশিয়ে ত্বকে লাগাতে হবে। কিছুক্ষণ রেখে ধুয়ে ফেলতে হবে। ত্বক হবে উজ্জ্বল ও মসৃণ।
অ্যালোভেরার অপকারিতা
অ্যালোভেরার রস বা ঘৃতকুমারী, ঘৃতকুমারী পাতার চামড়া থেকে প্রাপ্ত একটি হলুদ তিক্ত তরল, একটি শক্তিশালী রেচক। যা, একটি বেদনাদায়ক ক্র্যাম্পিং হতে পারে এবং এইভাবে ব্যবহার করা কোনভাবেই নিরাপদ নয়। গবেষণায় দেখা যায়, যে অ্যালোভেরা জেল বিভিন্ন ধরণের ব্যাকটেরিয়ার কার্যকলাপকে বাধা দেয় যা গহ্বর এবং মাড়ির রোগ হতে পারে।
Czerwony বলেন অ্যালোভেরার জুস প্রতিদিন পান করা নিরাপদ। কিন্তু এটি খুব বেশি পান করলে ক্র্যাম্পিং বা ডায়রিয়া হতে পারে। এটি পরিবর্তে একটি ইলেক্ট্রোলাইট ভারসাম্যহীনতা আনতে পারে। "যদি কারো এই গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল লক্ষণগুলির মধ্যে কোনটি থাকে, তাহলে তার সম্ভবত প্রতি অন্য দিন বা প্রতি তৃতীয় দিনে অ্যালোভেরার রস পান করা উচিত"।
অ্যালোভেরা খেলে অনেক সময় পেটের সমস্যা ও এলার্জির সমস্যা দেখা দিতে পারে। ত্বকে অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করলে ফুসকুড়ি, জ্বালাপোড়ার মত সমস্যা দেখা দিতে পারে এলার্জির ফলে, সেক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। নিয়মিত খাদ্যতালিকায় অ্যালোভেরা রাখতে চাইলে পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিয়ে নেওয়া ভালো।
এলোভেরার রস পান করলে অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া যেমন ত্বকে ফুসকুড়ি, খিটখিটে ভাব বা ফুলে যাওয়া চামড়া, শ্বাস কষ্ট, বুকের ব্যথা এবং গলা জ্বালা ইত্যাদিও হতে পারে। গর্ভবতী এবং স্তন্যপান করানো মায়েরা অ্যালোভেরা রস পান করবেন না।
দিনে ৩ বার অ্যালোভেরার জুস ৩০ মিলি- তে সীমাবদ্ধ থাকলে স্বাস্থ্যের সুবিধা পাওয়া যায় এবং সম্ভাব্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলি কম করা যায়। যদি খালি পেটে বা খাবারের সাথে অ্যালোভেরার জুস পান করা যায়। কারো যদি মিষ্টি ছাড়া অ্যালোভেরার জুস পান করা কঠিন মনে হয় তবে সে এটিকে ফলের রসের সাথে মিশিয়ে বা জল দিয়ে পাতলা করতে পারবে।
অ্যালোভেরাএর ঔষধি গুণাবলী এবং ত্বকের উপকারিতা জন্য ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। ত্বককে ময়শ্চারাইজ করতে এবং যতক্ষণ পর্যন্ত এটি ত্বকের অ্যালার্জির কারণ না হয় ততক্ষণ পর্যন্ত মুখে অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করা যাবে কিন্তু এলার্জির সমস্যা দেখা দিলে এটিকে এড়িয়ে চলাই শ্রেয়। অ্যালোভেরার উপকারিতা এবং ব্যবহার সম্পর্কে জানতে হবে, পাশাপাশি সম্ভাব্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কেও জানতে হবে।
কেউ যদি গর্ভবতী হয় বা বুকের দুধ খাওয়ায় তবে মুখ দিয়ে অ্যালোভেরা গ্রহণ করা এড়িয়ে যেতে হবে। শিশু: অ্যালো জেল যথাযথভাবে ত্বকে প্রয়োগ করা হলে তা সম্ভবত নিরাপদ। অ্যালো ল্যাটেক্স এবং অ্যালো পুরো পাতার নির্যাস শিশুদের মুখে মুখে খাওয়ার সময় সম্ভবত অনিরাপদ। ১২ বছরের কম বয়সী শিশুদের পেটে ব্যথা, ক্র্যাম্প এবং ডায়রিয়া হতে পারে।
তিনটি বিষাক্ত অ্যালো প্রজাতি রয়েছে যা খাওয়া মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে - অ্যালো বেলি, অ্যালো এলাটা এবং অ্যালো রসপোলিয়ানা । এই প্রজাতির পাতার রসে রয়েছে যা একটি শক্তিশালী র্যাটি গন্ধ দেয়।
অ্যালোভেরার হলুদ তরল পদার্থ বিষাক্ত হলুদ তরল হল উদ্ভিদের ল্যাটেক্স যাতে অ্যানথ্রাকুইনোন গ্লাইকোসাইড 'অ্যালোইন' থাকে। অল্প পরিমাণে অত্যধিক বিষাক্ত না হলেও, এটি ত্বকের সংবেদনশীলতা সৃষ্টি করতে পারে এবং যদি এটি গ্রহণ করা হয় তবে অন্ত্রে ব্যথা হতে পারে এবং একটি কঠোর রেচক প্রভাব থাকতে পারে।
লেখকের মন্তব্য
আশা করি পোস্ট টি থেকে আপনি অনেক অজানা তথ্য জানতে পেরেছেন। পোস্ট টি হতে কোনো উপকার পেলে বা পোস্ট টি ভালো লাগলে পরিচিত দের সাথে সেয়ার করুন। আর আপনার কোনো সমস্যা বা মন্তব্য থাকলে কমেন্ট বক্সে জানাতে ভুলবেন না। আর এমন পোস্ট পেতে অবশ্যই আমাদের গুগলে ফোলো করে রাখুন।
কেননা আমরা প্রতিনিয়ত এমন পোস্ট করে থাকি। যা আপনার জ্ঞান বৃদ্ধি তে ভূমিকা রাখবে। আমরা আমাদের জন্য নির্ভুল তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করি। আমাদের আর্টিকেলে যদি কোন প্রকার ভুল থাকে তবে তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। এর ফলে আমরা পরবর্তীতে সে ভুল সংশোধন করতে পারবো এবং আপনাদের নির্ভুল ও সঠিক তথ্য প্রদান করতে পারবো।
ব্লগারের জিহাদের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন;
comment url